Insane
||ভয়ঙ্কর জঙ্গলে||
এক .

ওয়াও ...
গাড়িটার জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে চেচিয়ে উঠল রুপা ।বিশেষ একটা কাজেই এই দ্বীপটাতে এসেছি আমরা ।আমি অভি ,শিলু এবং রুপা ।এই তিনজন ।দ্বীপটা ঠিক কোন মহাদেশে পড়েছে তা অজানা ।কেউ বলে এশিয়া আবার কেউ বলে আফ্রিকা ।দ্বীপটার অবস্থানও এমন যে সাত মহাদেশের একটা বললেই মেনে নিতে হয় ।মোটা ৫২০০মাইল বিস্তূত দ্বীপটার মোট জন্যসংখ্যা মোটে ৭০০জন ।খুবই কম ।কিন্তু মাত্র ২ বছর আগেও এই দ্বীপের জনসংখ্যা ছিল দুই হাজারেরও উপর ।রহস্যজনক ভাবে হঠাত্‍ করে মারা যেতে থাকে তারা ।অনেকেই পালিয়ে যায় অন্য কোথাও।খবর পেয়ে পাশের দ্বীপ থেকে পুলিশ এনে পাহাড়াও বসেয়েছিল ওরা ।রাত পেরোতেই সবার মরদেহ পায় গ্রামের লোক ।

ইন্টারেস্টিং !!
জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি সবাই ।এলোমেলো উচু নিচু রাস্তা দিয়ে ছুটে চলেছে গাড়িটা ।ছোট্ট গাড়ি ।সামনে সিটে ড্রাইভারের পাশে বসেছি আমি আর আরফান চাচা ।পিছনে শিলু আর রুপা ।দুই দিকে দুই জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছে ওরা ।শিলুর দিকে তাকালাম ।বাইরে তাকিয়ে আছে ও ।তবু জানি ওর বাইরে মন নেই ।সামনের ফাঁকা মাঠ ,গাছ-পালা ,ছোট ছোট পাহাড় কিছুই ভাসছেনা ওর চোখে ।সুন্দর এই দৃশ্য থেকে তার মনে জেগে উঠছেনা কোন ভাব ।আমি জানি ।জানি আমি কি ঘটছে তার মনে-চোখে-মগজে ।ওর চোখে ভাসছে ছবিতে দেখা সেই বিভত্‍স লাশ আর মগজে চলছে চিন্তা ।খুঁজে চলেছে রহস্যের কিনারা ।সাতরিয়ে উঠতে চায় রহস্য সাগরের পাড়ে ।কিন্তু ক্রমশ যেন চোখের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে তা ।

গাড়িটা ছুটে চলেছে তো চলেছেই ।রাস্তার যেন আর শেষ নেই ।আকাবাক পথ পেরোতেই সময় লাগে বেশি।ইতিমধ্যে কয়েকবার দেখলাম শিলু ঘড়ি দেখছে ।তারমানে বিরক্ত ধরে গেছে ওরও ।উচ্ছলময়ী রুপাও দেখলাম বেশে তিতিবিরুক্ত হয়ে আছে ।কপালটা ভয়ঙ্করভাবে কুচকে আছে ওর ।আমি চাইতেই মুচকি হাসল ।জোর করে আনা হাসি ।কৃত্রিমতাকে এড়ানো অতটা সহজনা ।আমরা সবাই চাই প্রকৃতিকে ছুড়ে ফেলে নিজের মতো চলতে ।কিন্তু প্রকৃতির গোলকধাধায় কখন যে আমরা নিজেরাই ধরা দিই তা বুঝতেই পারিনা ।
পিছন থেকে মুখ ঘুরিয়ে আবার সামনে তাকালাম ।সামনে লম্বা পথটা একটা পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে গেছে ।মনে হচ্ছে পাহাড়ের মধ্য দিয়ে তৈরী রাস্তা ।জীর্ণ শীর্ণ অবস্থা এখন ।এটার মধ্য দিয়েই যেতে হবে নাকি ?
ভাবতেই কাঁটা দিয়ে উঠল শরিরে ।
:-ভেঙ্গে পড়বে না তো ... ?
নিজের অজান্তেই কথাটা বেরিয়ে এল আমার মুখ থেকে ।
:-ফিলু খ না ফিলুখন তোয়াছ !
ড্রাইভার বলল ।কি বলে এসব ।কিছুই বুঝতে পারলাম না ।
:-ও বলেছে ভয়ের কিছুই নেই ।ভাঙ্গবেনা ওটা ।
আমাদের অনুবাদ করে শুনাল আরফান চাচা ।ওনি প্রায় পাঁচ বছর ধরেই আছেন এখানে ।চুনের ব্যবসা ওনার ।এই দ্বীপে ভাল চুনা পাথর পাওয়া যায় ।তাছাড়া গাছপালাও বিপুল পরিমাণে তাকায় চুল্লির খরচও পড়ে কম ।পরিবহণ ব্যবস্থা আর শ্রমিকের মূল্য তালিকাও সহনীয় পর্যায় ।বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা এই দ্বীপের ধারেকাছেও আসতে পারেনি ।সুতরাং ব্যবসার জন্য এরকম স্থান ই উপযুক্ত ।
কিন্তু বর্তমানে চাচার ব্যবসা ততটা ভালো নয় ।চুন উত্‍পাদন এক প্রকার বন্ধই ।যাও কয়েকটি চুল্লি আছে সেগুলোতেও চুন উত্‍পাদন কম আর যা উত্‍পাদিত হচ্ছে তারও মান ভাল নয় ।
ভাল হবেই বা কি করে ।আজকাল কোন শ্রমিকই রাতের বেলা চুল্লিতে থাকতে রাজি নয় ।সন্ধার পরেই দরজায় খিল দিয়ে বসে সবাই ।থাকবেই বা না কেন ?সবাই জানে রাতে আধারে বাইরে থাকা মানেই মৃত্যু ।বিভত্‍স ভাবে মৃত্যু ।
এই রহস্যে কারনেই চাচা আমাদের খবর দিয়েছেন ।আর রহস্যে যেখানে আমরাও তো সেখানে ।সুতরাং সোজা জাহাজে চরে মস্ত একটা ভ্রমণ সেরে এখানে চলে এলাম ।


দুই

অবশেষ শেষ হল রাস্তা ।একটা পুরনো বাংলোর সামনে এসে থামল গাড়িটা ।বাংলোটা অনেক বেশিই পুরোনো ।এর মধ্যেই কি সেদবে নাকি আমাদের ?
ভাবতেই আত্‍কে উঠলাম ।এর মধ্যে থাকলে নির্ঘাত্‍ অক্কা পেতে হবে ।ভূত দানোদের কারখানা হবে এটা ।যদিও ভাগ্যের জোড়ে তাঁরা হামলা না চালায় তবে সে যাত্রা বেচে গেলেও ঝড় ঝামটায় অবশ্যই ভেঙ্গে পড়বে ওটা ।
: এইটার মধ্যেই থাকতে হবে নাকি ?
গাড়ি থেকে নেমে সরাসরি চাচাকে প্রশ্ন করলাম ।
: না না সামনে আরেকটা বাংলো আছে ।বেশ ভাল আর নতুন ।ওটাতেই থাকবি তোরা ।
যাক বেশ সস্তি পেলাম ।রুপা আর শিলুও নেমে পড়েছে গাড়ি থেকে ।শীত শীত লাগছে কিছুটা ।দ্বীপটা কি শীতে প্রধান নাকি ? কে জানে হয়তো তা ।
: চল তাহলে । সন্ধা হয়ে আসছে ।
তাড়া দিলেন চাচা ।
: এই বাংলোটা কিসের ?
হাটতে গিয়েও থেমে গেলাম আমি ।শিলুর প্রশ্ন ।চাচাকেই করল ।
: সেটা পরে জানা যাবে । এখন চল ।
চাচার কথায় দ্রুততা ।তাড়া ।চাচা বলেছে চুন শ্রমিকদের রাতের বেলায় ধরে বেঁধেও বাইরে রাখা যায়না ,আমার তো মনে হচ্ছে চাচাকেও কোন প্রকারে বাইরে রাখা যাবেনা ।ভয়টা চাচার মধ্যেও ঢুকে গেছে নির্ঘাত্‍ ।আর ঢুকবেই বা না কেন ? চোখের সামনে পর পর কয়েকটা বিদঘুটে লাশ দেখলে যে কেউই ভয় পাবে ।ভয় পেতে বাধ্য ।

এগিয়ে চললাম আমরা ।আধো আলো আর আধো অন্ধকারে একটা ঘুপছি মতো জায়গা দিয়েছি চলেছি । চাচার হাতে লাইট ।তিনিই রাস্তা দেখিয়ে আগে আগে চলেছেন ।
তাঁর পিছনে আমি ।আমার পিছনে রুপা আর সবার পিছনে শিলু ।ঘাড় ঘুরিয়ে একবার পিছনে তাকালাম ।সন্ধার আধো আঁধারে মাথায় হ্যাট পড়ায় অদ্ভূত দেখাচ্ছে ওকে ।




অসাধারন বাংলো ।এই মান্দাতার আমলের দ্বীপে এমন একটা ভবন আশায় করা যায়না ।আমি তো আশা করিইনি রুপার মুখ দেখে মনে হচ্ছে ও ও আশা করেনি ।শিলুর দিকে তাকিয়ে কিছু বুঝা গেলনা ।

বাংলোটাতে চারটে রুম ।একটাতে থাকে কেয়ার টেকার তার পরিবার নিয়ে ।আর পিছনের রুমটাকে আপাতত চাচা থাকেন ।দ্বীপে তাঁর বাড়ি অর্ধনির্মিত হয়ে পড়ে আছে ।ব্যবসায় মন্দা চলছে বলে ওটার কাজ শেষ করতে পারছেন না আর ।

বাকি দুটা রুম দখল করে বসলাম আমরা ।একটাতে রুপা ।আর একটাতে আমি আর শিলু ।বেশ বড় বড় রুমই ।আগে থেকেই সব ঠিক করা ।সাফ সুতরো ঘর ।দেখে বুঝায় যায়না ঘরদুটো জন্মলগ্ন থেকে খালি পড়ে ছিল ।
যাহোক খেয়েদেয়ে শুয়ে পড়লাম ।সারাদিনের ক্লান্তিতে সাথে সাথেই ঘুম নেমে এল চোখে ।
তলিয়ে গেলাম ঘুমের রাজ্যে ।
ক্রমশ থেকে ক্রমশ গাঢ় একটা ঘুমের রাজ্যে ।

তিন

হঠাত্‍ করেই ঘুম ভেঙ্গে গেল আমার ।রাত নিঝুম ।বাইরে একটানা রি ..রি ..রি ..রি ঝিঝি পোকার ডাক ।বুঝতে পারলাম না কি জন্য ঘুম ভাঙল আমার ।
চোখ বুঝে আবার ঘুমাবার চেষ্টা করলাম ।হয়তো চোকটা লেগেও এসেছিল ।ঠিক সে সময় ,একটা শব্দ শুনলাম ।ভয়ঙ্কর একটা শব্দ ।একটা অমানবীয় আর্তচিত্‍কার ।কানের এপাশ - ওপাশ করে বেরিয়ে গেল শব্দটা ।ভয়ে আত্‍কে উঠলাম আমি ।ঘুম একেবারেই চলে গেল ।সেইসাথে খেয়াল হল আমি কোথায় আছি ।একে একে মনে পড়ল সব ।জাহাজে ভ্রমন ,চাচার মুখ আর ভয়ঙ্কর এই দ্বীপটার কথা ।প্রথমেই মনে এল শিলুর কথা ।পাশের বেডেই শুয়েছে ও ।পাশ ফিরে ওদিকে তাকালাম ।একরাশ কালো অন্ধকারে কিছুই ঠাওর করতে পারলাম ।কয়েকবার চোখ বুঝে আবার তাকালাম ।চোখ ঘসে অন্ধকারটাকে চোখে সইতে দিলাম ।এবার আবছা আবছা দেখা গেল শিলুকে ।নাকে মুখে কাথা দিয়ে ঘুমোচ্ছেও ।বেঘোরে ঘুমোচ্ছে ও ।এত বড় একটা শব্দ কি কানে যায় নি ওর ?
নাকি ,শব্দটা ছোটই ছিল ।হতে পারে বাংলোটার আশেপাশেই হয়েছে শব্দটা ।একে সজাগ ,তারপর নিঝুম রাত ।তাই হয়তো মানবীয় আর্তনাদটা অতিমানবীয় হয়ে ধরা দিয়েছে আমার কাছে ।

নিজেকে বোঝ দেবার চেষ্টা করলাম ।আমার ঘুমুতে চেষ্টা করলাম ।কেমন একটা অসস্থি লাগতে শুরু করল আমার ।মনে হচ্ছে কেউ যেন ঝলঝল চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে ।ঘোত্‍ ঘোত্‍ কয়েকটা শব্দও শুনলাম ঘরের মধ্যে ।তারপর হাটচলার শব্দ ।ধীরে ধীরে সরে গেল ওটা ।একটা ক্যাচ করে শব্দ হল ।মনে হল কেউ দরজা খোলে বাইরে বেরিয়ে গেল এইমাত্র ।তারপর ক্রমশ হারিয়ে গেল হাটচলার শব্দটা ।ঘুমে ঢোলে পড়লাম আমি ।


: এই অভি !অভি ! আরে উঠ !

রুপার ডাকে ঘুম ভাঙলো আমার ।চোখ মেলেই ওর বিরুক্তি মাখা মুখটা দেখলাম ।
: পারিস বটে দুজনে ।মা গো! এত ঘুম কি কোন মানুষে ঘুমায় ?
দুজন মানে ? কি বলছে রুপা !
মুখ ঘুরিয়ে শিলুর বেডের দিকে তাকালাম ।ঘুম ঘুম চোখে বসেছে ও ।
: এত সাত সকালে দরজাটা খোলে এই দাজ্জালটাকে ঘরে আনলি কেনরে তুই ?
শিলুর দিকে প্রশ্নটা ছুড়ে দিলাম আমি ।
ঘোত্‍ করে একটা শব্দ করল রুপা ।ভয়ে মুখের দিকে তাকালাম না ওর ।তাকালে দেখতাম রেগে টং হওয়া একটা মুখ ।
: আমি কখন খোললাম আবার ?আমিত এই মাত্র উঠলাম ।
: তাহলে ?
প্রশ্নোবোধক দৃষ্টিতে রুপার দিকে তাকালাম আমি ।সে ঘরে ঢুকলো কি করে ?
: তাহলে আর কি ? দরজা না দিয়েই ঘুমিয়ে গিয়েছিলে তোমরা ।আমি এসে দরজা খোলাই পেয়েছি ।

: মানে ? এবার নড়েচড়ে বসল শিলু ।
দিব্বি মনে আছে আমাদের ।দরজা ভাল করে বন্ধ করেই ঘুমিয়ে ছিলাম আমরা ।
: ছার !ফেরেস হয়ে খাইতে আয়েন ।
দরজার বাইর থেকে ভেসে এল কথাটা । কেয়ার টেকারের গলা ।
: আসছি !যাও তুমি !
বলল রুপা ।তারপর আবার আমাদের মুখের দিকে তাকাল ও ।বোকা বোকা একটা দৃষ্টি ওর চোখে ।হয়তো বুঝতে পারছেনা কিছুই ।
: শিলু ...
রাতের সেই চিত্‍কার আর ঘরে হাটাহাটির শব্দের কথাগুলো জানাতে গেলাম ওকে ।
কিন্তু ও হাত দিয়ে থামিয়ে দিল আমাকে ।
: চল ফ্রেস হয়ে খেয়ে আসি ।
অদ্ভূত একটা অবহেলা দেখলাম ওর চোখ মুখে ।
নিশ্চয় কিছু আচ করেছে ও ।হয়তো বা এসব কথা বলা এখন ঠিক হচ্ছেনা ।



চার

কি হয়েছে রে তোর ?
রেলিং ধরে হাটতে গিয়ে পাকরাও করলাম শিলুকে ।
ব্যাটার আচরন দেখি বেমালুম পাল্টে গেল !
রহস্যের দিকে যেন কোন ঝোক নেই ওর ।
ওরকম একটা সংঘাতিক কান্ড ঘটার পরও ।
: তুই কি আমার কথা শুনেছিস !
রাতের কাহিনী গুলো বলার পরও কোন ভাবন্তর নেই শিলুর মুখে ।
: হ্যা ।আর ... ।
থেমে গেল শিলু ।
: আর কি ?
: শু ..
মুখে আঙুল চেপে চুপ থাকার ইশারা দিল ও ।তারপর ধীরে ছাঁদের দরজার দিকে এগিয়ে গেল ।এক ঝটকায় খোলে ফেলল দরজাটা ।ঝনঝন করে একটা শব্দ হল ।
থ হয়ে গেলাম আমি ।থতমত হয়ে দরজার ওপারে দাড়িয়ে আছে রামু । ।বাংলোর কেয়ার টেকার ।
: আপনি এখানে কি করছেন ?
শিলু যেন জেরা শুরু করল ।
: জ্বি স্যার ! সাহেব একটা খবর দিতে বলল ।
নিজেকে সামলিয়ে নিয়ে উত্তর দিতে একটু দেড়ি হয়ে গেল ওর ।
এই ফাকে আমি ওদের কাছাকাছি চলে এলাম ।শিলুর মুখের দিকে ও রেগে গেছে কিনা বুঝার চেষ্টা করলাম ।মুখ দেখে কিছু বুঝতে পারলাম না ।
চোখ সরিয়ে রামুর দিকে তাকালাম ।বেশ ভালই একটা ভয় পেয়েছে ও ।
মুখটা শুকিয়ে গেছে একদম ।
সিঁড়ির একদম শেষ মাথায় একগোছা চাবির রিং ।
ভয়ে হয়তো ফেলে দিয়েছে ।
: হ্যা কি খবর বল ?
যেন কিছুই হয়নি এমনভাবে প্রশ্নটা ছুড়ল শিলু ।
: সাহেব !
একটা ঢোক গিলল রামু ।যেন জোর করে স্বাভাবিক হওয়ার প্রচেষ্টায় আছে ও ।
: আজকেও একজন খুন হয়েছে ।আপনাকে দ্রুত নিচে যেতে বলেছে ।

বলেই ঘুরে দাড়াল ও ।হনহন করে নিচে নেমে গেল ।যাবার সময় সন্তর্পনে চাবির গোছাটা নিয়ে গেল ।

||পাঁচ||
ভয়ঙ্কর অবস্থা নিচে ।
একটা বিভত্‍স লাশ নিচে ।বিকট গন্ধে কেউ কাছে ঘেষতে পারছেনা ।ব্যাপারটা আমার কাছে অদ্ভুত ঠেকল ।একরাতের মধ্যে লাশটা পচার কথা না ।
তাছাড়া গন্ধটাতেও একটা কিন্তু কিন্তু লাগছে ।
কেমন যেন একটু বেশি বিকট ।একটু বেশি প্রকট আর কেমন যেন কৃত্রিম কৃত্রিম ভাব ।
দু চার একটা লাঠি দিয়ে লাশটাকে একটা শবখাটে উঠিয়ে নিল ।

তারপর নাঁকমুখ বেধে সাগরে ফেলে দিয়ে আসল ।