[এক]

চারদিকে ক্রমশ অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে ।বাড়ছে ধূলির ঝড় ।তবু হাটছে 'আলিহি' ।পাথরের ঘসায় চারটি পা এর অবস্থাই চরম ! ব্যাথায় কুকড়ে আছে সে । এত কিছুর পরও থামা যাবেনা । এগোতে যে হবেই তাকে । বাচতে থাকে হবেই । কিন্তু কিভাবে ? প্রযুক্তি !হ্যা আন্তজার্তিক বিজ্ঞানাগারেই যাবে সে । একটা স্পেস রাইডার হলেই হবে ।পাড়ি জমাবে সে মহাশূন্যে । যতখন না পর্যন্ত অন্য কোন গ্রহের সন্ধান না পায় । বিপদ ক্রমশই এগিয়ে আসছে ।এতখন ছিল শুধু অন্ধকার আর ধূলিঝড় ।এখন সমস্যা হচ্ছে শ্বাস প্রশ্বাসেরও ।চমকে উঠল আলিহি ।তবে কি মৃত্যু ঘনিয়ে আসছে ? হ্যা এরকম বাতাসে অক্সিজেনের ঘাটতি শুরু হলে ,মৃত্যু বেশি দূরে নয় । হাতের লাইফ টাইমার দিকে তাকাল সে । লাল আলো জ্বলছে ।জীবনের সে প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে সে । হয়তো বা একই অবস্থা অন্যদেরও । কিংবা এতখনে হয়তো পুরো গ্রহে সে একমাত্র প্রাণী ,যে জীবিত । টেনে টেনে শ্বাস নিল সে ।মনে হচ্ছে শ্বাসথলেটা ছিড়ে যাবে । এবার দৌড়তে থাকে সে ।যে করেই হোক ,শেষ সিগনালটা মুছে যাবার আগেই তাকে স্পেস ষ্টেশনে যেতে হবে ।
[দুই]
সত্যিই অবাক কান্ড ! একি করে সম্ভব ? গ্রহটা দেখে হতাশা সামলাতে পারলেন না ডাঃ তালহা । পুরো নাম ডাঃ তালহা বিন নজরুল । নাসায় কর্মরত একমাত্র বাংলাদেশী সে । এটাই মহাকাশে তাঁর প্রথম মিশন ।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিশনও এটি ।সুতরাং ব্যয়বহুল তো বটেই । সময়টা ৩০০১সাল ।পৃথিবীর মানুষেরা ইতিমধ্যেই হার মানিয়েছে আলোকে ।আলোর গতিকে । মানুষের তৈরী শত শত যান এখন আলোর গতিতে ছুটে বেড়ায় মহাকাশে এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ।ব্যয়ও বেড়েছে তেমন । পৃথিবীর অবস্থাও প্রায় শোচনীয় ।বনভূমি কমে ১৫% এ দাড়িয়েছে । এ যখন অবস্থা ,তখন বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত মহাকাশ নিয়ে ।বাইরের পৃথিবীর দিকে । অন্য একটা পৃথিবী আবিষ্কারের দিকে । পরের পর্ব প্রকাশ হবে ৯/০৫/২০১১ রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে ।বিশেষ কারণবশত প্রথম পর্বটি ছোট হয়ে যাওয়ায় আমি দুঃখিত ।

Disneyland 1972 Love the old s