তোমাদের লেখা গল্পঃ সত্যি !হরর কাহিনী ।
আবদুল্লাহ হোসাইন
ইমেইলেঃ romantic_bhoot8@ovi.com
ছোটকাল থেকে নিজেকে এতিম মনে হত । আমার নিজের প্রতি অত কেয়ার ছিলনা ।আমি মনে মনে ভাবতাম আমার আল্লাহ ছাড়া কেউ নেই ।আমি একথা ভেবে ভেবে মাঝে মাঝে কান্নাও করতাম ।জীবনটা যে তখন কত যন্ত্রনাময় হয়ে উঠেছিল . . . . . তখন আমার ছোটচাচ্চু(যিনি আমার প্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব, তিনি বর্তমানে মৃত) একসিডেন্ট করেন ।আমি দুঃখে মুষরে পড়লাম ।আমার জীবনের শেষ অবলম্বন ছিলেন তিনি ।সেও চলে গেল ।যা হোক, তারপর থেকে আমি আল্লাহ কে মনে মনে ডাকতাম আর বলতাম ,হে আল্লাহ তুমি কেন আমার চাচ্চুকেও কেড়ে নিলে? তখন আমার মনে হত আল্লাহ যেন আমাকে বলছেন ,সময় এলে সবাইকেই আমার কাছে আসতে হবে.
এরপর একে একে অনেগুলি দিন কেটে যায় ।ধীরে ধীরে আমি আমার মাঝে একটা রাগী রাগী ভাব লক্ষ করি ।যা সামনে পাই তাই ভেঙ্গে ফেলার জন্য হাত নিশপিশ করে ।বলা বাহুল্য ,আমার রাগের নাগাল শুধু এইসব জড় বস্তুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইলনা ।একদিন আমি ৮বছরের একটি ছেলেকে মেরে রক্তাক্ত করে দেই ।এটা যে সময়ের কথা তখন আমার বয়স ছিল ১৪ ।তাই ওই ছেলের বাবা মারা আমাকে ছোট ভেবে কয়েকটা বকা ছাড়া আর কিছুই করেন নি ।বয়সের উপর সব দোষ ঝেরে ফেলে আমি সেযাত্রা রেহায় পেলাম ।সেদিনই সন্ধায় ছেলেটি কি করতে যেন আবার আমাদের বাসায় আসে । তখন আমি ছাড়া বাসায় আর কেউই ছিল না ।সন্ধার আধো অন্ধকারে বাসায় শুধু দুটো প্রাণী । হঠাত্ করেই ইলেকট্রিসিটি চলে যেতেই ধপ করে একরাশ অন্ধকারে ডুবে গেল বাড়িটা ।আমি তাড়াহুরো করে মোম খোঁজতে থাকি ।এদিক ওদিকে হাতরে যখন ম্যাচ না পেয়ে আবার খোঁজতে যাব ঠিক তখনই আমার হাতে যেন কার স্পর্শ পাই ।বরফ শীতল তার হাত ।ভয় পেয়ে পিছন ফিরে তাকালাম ।দেখলাম ছেলেটি শরির পুরোপুরি কালো ।আর যেন লোমশ ।চোখ দুটো আগুনের মত লাল ।ঠিক যেন ইটের ভাটার মত দগদগ করে জ্বলছে ।ভয়ে তখন আমার অবস্থা খুবই খারাপ ।ছেলেটার চোখে তখন আমাকে মেরে ফেলার নেশা ।ঠিক তখন কে যেন বলল ''এই আবদুল্লাহ তুই দরজা খুলে বের হয়ে যা, ততখন আমি এই ব্যটাকে সামলাচ্ছি'’ ।ঠিক যেন আমার ছোট চাচার গলা ।যাহোক ,কথাগুলো শুনার পর হঠাত্ কোথা থেকে যেন একরাশ শক্তি এসে জেকে বসল আমার শরিরে, আমি দৌড়ে গিয়ে দেখি দরজা বন্ধ ।জোরে লাথি বসালাম দরজায় ।ভেঙ্গে খান খান হয়ে গেল ওটা ।দৌড়ে বেরিয়ে এলাম ঐ ঘর থেকে ।